Skip to main content

কোভিডের প্রভাব: কর্মজীবী তরুণীদের এক–তৃতীয়াংশের চাকরি নেই




করোনা মহামারির আগে আয়মূলক কাজে ছিলেন এমন এক–তৃতীয়াংশ বা ২৯ শতাংশ নারী চলতি বছরের জানুয়ারির মধ্যে কাজ হারিয়েছেন। ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (বিআইজিডি) এক সমীক্ষায় এ চিত্র পাওয়া গেছে। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় আয়োজিত সেমিনারে এ সমীক্ষার ফল তুলে ধরা হয়। বিআইজিডির নির্বাহী পরিচালক ইমরান মতিন সমীক্ষার ফল তুলে ধরেন। বিআইজিডি এবং ব্র্যাকের দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচি (এসডিপি) বিশ্ব যুব দক্ষতা দিবস (১৫ জুলাই) উদ্‌যাপনের অংশ হিসেবে এই ওয়েবিনারের আয়োজন করে। ব্র্যাকের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।


বিআইজিডির প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে কোভিড-১৯–এর মধ্যে বহু নারী চাকরি হারিয়েছেন, অন্য চাকরি খুঁজে পেতে খুব কঠিন সময় কাটিয়েছেন। তাঁদের আয়ের পথ খুব ধীরে উন্মুক্ত হচ্ছে। দেশে মহামারির আগে আয়মূলক কাজে নিযুক্ত তরুণীদের ২৯ শতাংশ চলতি বছরের জানুয়ারির মধ্যে চাকরি হারিয়েছেন। এ হার কাজ হারানো তরুণদের (১১ শতাংশ) তুলনায় প্রায় তিন গুণ বেশি। যে তরুণীরা পুনরায় উপার্জনের ব্যবস্থা করতে পেরেছেন, তাঁদের আয় মহামারির আগের আয়ের থেকে ২১ শতাংশ কম। অন্যদিকে কাজ হারানো তরুণদের মধ্যে যাঁরা নতুন করে কাজে যুক্ত হয়েছেন, তাঁদের আয় আগের চেয়ে ১০ শতাংশ কম। অর্থাৎ তরুণদের তুলনায় তরুণীদের আয় পুনরুদ্ধারের হার বেশ কম।


সমীক্ষায় উত্তরদাতারা উল্লেখ করেন, শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়ানো, হস্তশিল্প, কারখানার চাকরি, দরজির কাজ এবং হালকা প্রকৌশলের মতো ক্ষেত্রে সাধারণত তরুণীদের কর্মসংস্থান হতো। কিন্তু এ খাতগুলোই মহামারিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। এ খাতগুলোকে আগের অবস্থায় নিয়ে আসা খুব কঠিন ও সময়সাপেক্ষ। তাই করোনাকাল শেষে তরুণীদের জন্য চাকরিতে ফিরে আসতে অসুবিধা হবে।

জরিপের ফলাফল তুলে ধরে ইমরান মতিন বলেন, দীর্ঘ সময় বেতনহীন থেকে অনেক শ্রমজীবী নারী স্থায়ীভাবে চাকরি ছাড়তে বাধ্য হতে পারেন, যা শ্রমবাজারে নারীদের অংশগ্রহণের স্বল্প হারকে আরও কমাতে পারে। সংশোধনমূলক ব্যবস্থা না নিলে কোভিডের আঘাত নারীর ক্ষমতায়নের অনেক অগ্রগতি আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে পারে।

ওয়েবিনারে বক্তারা প্রযুক্তিগত ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার গুরুত্ব, স্থানীয় ও বৈশ্বিক অর্থনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত দক্ষতার প্রশিক্ষণ এবং বিকাশে সচেতনতার ওপর জোর দেন।

পরে ব্র্যাক স্কিলস ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের বর্তমান ইনচার্জ তাসমিয়া তাবাসসুম রহমান আলোচনা সভার সঞ্চালনা করেন। এতে অংশ নেন ব্র্যাকের জেন্ডার, বিচার ও ডাইভারসিটি প্রোগ্রামের পরিচালক নবনীতা চৌধুরী, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার প্রোগ্রাম অফিসার তাহমিদ আরিফ এবং নাটোরভিত্তিক নেদা সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক জাহানারা বিউটি।









 

Comments

Popular posts from this blog

সকালে খালি পেটে কি খাবেন - সকালে অনেকে অনেক কিছুই খেয়ে থাকেন

সকালে খালি পেটে কি খাবেন ?   আসলে আমরা দেখতে পাই সকালে অনেকে অনেক কিছুই   খেয়ে থাকেন। ইউটিউব বা বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে অনেকে সার্চ করে অনেক ধরনের তথ্য পেয়ে থাকেন যে , সকালে খালি পেটে কি খাবেন ,  বা কি খেতে হবে ,  এটি আসলে কোথাও বৈজ্ঞানিকভাবে ব্যাখ্যা করা নেই যে সকালে খালি পেটে কিছু খেতেই হবে। এই ব্যাপারটি প্র্যাকটিস করেন তারাই বেশি যারা ওজন কমাতে চান   এবং যাদের অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস এবং অনিয়ন্ত্রিত প্রেসার আছে।       তাই সবার উদ্দেশ্যে বলছি খালি পেটে কি , কার জন্য খেলে ভালো হবে প্রথমত আমাদের দেশের মানুষের একটি বড় প্রবণতা হচ্ছে ওজন কমাতে হলে প্রথমে ভাবেন সকালে খালি পেটে কি খাবেন অথবা   অনেকে মনে করেন সকাল বেলা খালি পেটে গরম পানি দিয়ে লেবু এবং মধু পানির সঙ্গে মিশিয়ে খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। কিন্তু এটা সবার জন্য প্রযোজ্য হবে ব্যাপারটা ঠিক স

ঈদ পর্যন্ত শিথিল, পরে কঠোর বিধিনিষেধ

  ঈদ পর্যন্ত শিথিল, পরে কঠোর বিধিনিষেধ করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে চলমান বিধিনিষেধ  ১৫ জুলাই (বৃহস্পতিবার) থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত শিথিল করা হবে। তবে ২৩ জুলাই থেকে আবারও কঠোর বিধিনিষেধ জারি হবে। এ বিষয়ে আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।  সরকারি তথ্য বিবরণীতে এ কথা জানানো হয়েছে। সরকারি সূত্রগুলো বলছে, বিধিনিষেধ শিথিল করার সময়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সব ধরনের গণপরিবহন এবং শপিং মলসহ দোকানপাট খোলা থাকবে। তবে আসনসংখ্যার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলতে হবে গণপরিবহনকে। কোরবানির হাটও বসবে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ১ জুলাই থেকে কঠোর বিধিনিষেধ চলছে। প্রথমে ৭ জুলাই পর্যন্ত তা থাকলেও পরে তা আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়, যা আগামী বুধবার (১৪ জুলাই) শেষ হবে। তবে বিধিনিষেধের মধ্যে সব সরকারি অফিসের দাপ্তরিক কাজগুলো ভার্চ্যুয়ালি (ই-নথি, ই-টেন্ডারিং, ই-মেইল, এসএমএস, হোয়াটসঅ্যাপসহ অন্যান্য মাধ্যম) সম্পন্ন করা হবে। শ্রমজীবী মানুষসহ জীবিকার দিক বিবেচনা করে ঈদের আগে বিধিনিষেধ শিথিলের সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে সরকারি সূত্রগুলো জানিয়েছে। তবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও মৃত্যুর বর্তমান